Forex Trading Library

ট্রাম্প স্ক্যান্ডাল, ভোলাটিলিটি, স্টক মার্কেটের হোচট খাওয়া, এবং দুর্বল ডলার

0 452

ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহনের দিনটি অনেক চমৎকার ছিল। মার্কেট এর ভোলাটিলিটি প্রচুর বেড়ে যায়, ভয় ইন্ডেক্স আকাশচুম্বী, স্টক মার্কেট হোঁচট খায়, ডলার দুর্বল হয়েছে, এবং সেফ হ্যাভেন কারেনসি র‍্যালি হয়েছে।

ঘটনার পিছনে কারন কি?

কিছুদিন আগে নিউইয়র্ক টাইমস থেকে প্রকাশিত এক আর্টিকেলে বলা হয় যে এই অবস্থা আমেরিকার ইতিহাসে সব চেয়ে বড় স্ক্যান্ডাল।

নিউইয়র্ক টাইমস আরো বলে যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডভাইসর মিসেল টি এর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করার জন্য এফবিআই  কে নির্দেশ দেন।  মিসেল টি রাশিয়ার সাথে মিলে হ্যাকিং এর বিষয়ে সন্দেহজনক ছিল। তাকে এপয়েন্ট করার কিছুদিন পরেও বরখাস্ত করা হয়।

এই বিষয়টি যদি কংগ্রেস সঠিকভাবে প্রমান করতে পারে তাহলে হয়তো ডোনাল্ড ট্রাম্প কে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু হপ্যে যাবে।

 

মার্কেট কেন ওলটপালট?

আমরা সবাই জানি যে মার্কেট অনেক সংবেদনশীল, যে কোন ইকোনোমিক অথবা রাজনৈতিক কারনে (সেটা সত্য অথবা গুজব হতে পারে) মার্কেতে ওলটপাল্ট মুভ করে। ইনভেস্টর এবং ট্রেডার সবাই দ্বিধা- দন্দে পড়ে যায় কোন সিদ্ধান্ত নেবার বেলায়।

হোয়াইট হাউস তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে এবং এফবিআই ও সেটা ভালোভাবে প্রমান করতে পারেনি। এই ঘটনা মার্কেট কে অস্থিতিশীল করে রাখে, বিশেষ করে এফবিআই চীফ স্পষ্ট করে এই বিষয়ে কোন অস্বীকৃতি জানায় নি। যেহেতু কোন সরাসরি অস্বীকৃতি নেই শেতু ঘটনা সত্য হতে পারে, এই কারনে ইনভেস্টর রা সেফ হ্যাভেন কারেন্সি এর দিকে ঝুকে যায়।

পরবর্তী তে কি হবে?

কংগ্রেস এফবিআই চীফকে জনসম্মুখে তার বক্তব্য বলার জন্য অনুরোধ করেন যা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। যাই হোক, কংগ্রেস এফবিআই কে এই ঘটনার সমস্ত নোট, মেমো, এবং অন্যান্য কাগজপত্র প্রকাশ করতে বলে। কংগ্রেস এগুলো প্রদান করার জন্য ২২ মে পর্যন্ত সম্য নির্ধারণ করে দেয়।

এর উত্তরস্বরূপ, এফবিআই জনসম্মুখে বক্তব্য রাখার জন্য রাজি হয়, এর পরে এই ঘটনার তদন্তের তথ্যাদি যাচাই বাচাই করে কংগ্রেস এফবিআই কে প্রশ্ন করতে পারবে।

এখান থেকে আমরা কোথায় যাব?

প্রথমে চোখ রাখতে হবে ভিক্স ইডেক্স এর দিকে, গতকাল এইটি অনেক ঊর্ধ্বমুখী হয় যা এপ্রিল এর পর থেকে সরবোচ্চ। সর্বোপরি এইতাই গত বছরের জুন এর পর থেকে এইটাই সর্বচ্চ ।

ভয় বেড়ে যাওয়াটা সব ধরনের মার্কেটের জন্য একটি প্রেশার, শুধুমাত্র ইউএস ইকুইটি এর জন্য নয়। ইনভেস্টর না এই জন্য তাদের নজর সেফ হ্যাভেন কারেন্সি যেমন ইয়েন, গোল্ড, সিল্ভার এর দিকে দিকে ঝুকছে।

গোল্ড খুব শক্তিশালি ভাবে স্পাইক করে যেটা গত বছরের সেপ্টেম্বর এর পর থেকে এই পর্যন্ত এক দিনের সবচেয়ে বড় অর্জন। যেটা আমাদের কে ইঙ্গিত করে যে গোল্ড খুব তারাতারি ১২৭০ এর উপরে চলে যাবে।

অন্যদিকে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কারেন্সি হল ডলার। গতকালকে ডলার ইনডেক্স সাপোর্ট লেভেল ৯৮.৫০ ভেঙ্গে ফেলে যার ফলে প্রাইস ৯৭ পর্যন্ত ফল করার সম্ভাবনা রয়েছে

পরিবর্তন কখন আসবে?

এই ঘটনা সম্পূর্ণ উলটা হয়ে যাবে যদি তদন্ত এর রিপোর্ট একেবারে উলটা আসে। এফবিআই এবং কংগ্রেস এর কাছ থেকে মার্কেট একটি সরাসরি এবং স্পষ্ট উত্তর চায় যে নিউ ইয়র্ক টাইম যা প্রকাশ করেছে তা সত্য কি না।

ততদিন পর্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য ট্রেডারদের ট্রেডে ঝুকির পরিমান যতটুক সম্ভব কমিয়ে যেয়া উচিত।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.