ট্রেডিং এর প্রবনতা এখন খুবই উচ্চমুখির দিকে…।
ট্রেডিং এর প্রবনতা স্থাপন করা
মার্কেট এর ট্রেন্ড হলো প্রাইস এর স্বচ্ছ টুল যা কিনা ট্রেডারসদের জন্য ট্রেড করতে খুব সাহায্য করে।মার্কেট এর ট্রেন্ড নির্ণয় করতে এর সুইং হাই অথবা লও কিনা তা দেখে খুব সহজেই বোঝা যায়।যদি প্রত্যেকটা হাই শেষটার থেকে লোয়ার হয় তাহলে এটা বিয়ারিশ ট্রেন্ড ইন্ডেকেট করে।
আর যদি হাই শেষ টার থেকে হাইয়ার হয় এবং লও টা যদি শেষ টার থেকে হাইয়ার হয় তাহলে এটাও বিয়ারিশ ট্রেন্ড হবে।
যদি প্রাইস হাই পয়েন্ট থেকে লও পয়েন্ট এর মধ্যে ঘুরাফেরা করতে থাকে এবং কোনো নির্দিষ্ট দিকে না যায় তাহলে তা কোনো ট্রেন্ড এর মধ্যে পরবেনা এবং এটা রেঞ্জ বাউন্ড অথবা ‘চপি’বলে গণ্য করা হবে।
যদিও, যখন প্রাইস একবার লং অথবা মিডিয়াম ট্রেন্ড এর মধ্যে থাকে তখন ট্রেন্ড এর অবস্থা খারাপ এর দিকে চলে যায়।
উপরের থেকে এটা বোঝা যায় যে, mature bearish ট্রেন্ড প্রাইসের সাথে লওয়ার লওস এবং লওয়ার হাইস এর একটি সিরিজ অনুসরন করে।
যদিও আমরা দেখতে পাই যে, প্রাইস একটি শক্ত রেলি বজায় রাখছে যেটা কিনা লং টার্ম বিয়ার ট্রেন্ড এর বিপরিতে সর্ট টার্ম বুল প্রেজেন্ট করছে আর এই সময়টা তে নতুন ট্রেডারস রা ট্রেড করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
যদিও, রিট্রেস্মেন্ট প্রত্যেকটা ট্রেন্ড এ হয় এবং তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেটা কিনা ট্রেডারসদের মার্কেটে ফিরে যেয়ে তাদের অবস্থান নতুন করে গড়ার সুযোগ করে দেয়। যদিও স্বল্প সময়ের জন্য কিছু নতুন ট্রেডারসরা ট্রেন্ড এর রিসাম্পশন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কিছু না বোঝে লস ফেস করে থাকে।
Momentum সংকেত মার্কেটের সময় এর উপর
Momentum সংকেত অনেকটা ভালো পদ্ধ্যতি ট্রেন্ড এর অবস্থা ভালো রাখতে সাহায্য করে যখন ট্রেন্ড এর অবস্থা কিছু সময়ের জন্য খারাপ থাকে।
স্টকেস্টিক ইনডিকেটর এর মতে momentum ইন্ডিকেটোর একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রাইস কে মেপে থাকে যা থেকে মার্কেট overbought or oversold বোঝা যায়। অন্নদিকে মার্কেট যখন overbought তাহলে momentum উপরের দিকে যেতে থাকে এবং খুব সম্ভবত তা নিচের দিকে কারেকশন করতে পারে আর যদি oversold হয় momentum নিচের দিকে যেতে থাকে এবং খুব সম্ভবত উপরের দিকে কারেকশন করে।
কেনো এটা আমদের কাছে খুবই উপকারী ?
Momentum ইন্ডিকেটরস সেই সময় গুলো চিনহিত করতে পারে যেখানে কিছু নিস্ক্রিয় momentum খুব সম্ভবত রিসাম্পশন এর দিকে যেতে পারে।
এখানে বিয়ারিশ ট্রেন্ড এর মধ্যে আমরা একটা এরিয়া শনাক্ত করি যেখানে momentum overbought হয় যার মানে কারেকশন momentum কে নিষ্ক্রিয় করে এবং পরে লোয়ার কে ঠিক করে বিয়ারিশ ট্রেন্ডে যেতে থাকে।
একইভাবে, বুলিশ ট্রেন্ড এর মধ্যে আমরা একটা আরিয়া শ্নাক্ত করতে চাই যেখানে momentum oversold হয় যার মানে কারেকশন momentum কে নিষ্ক্রিয় করে এবং পরে হাইয়ার কে ঠিক করে বুলিশ ট্রেন্ডে এ যেতে থাকে।
তাই বিয়ারিশ ট্রেন্ড এ যখন দেখা যাবে প্রাইস টা বারছে এবং ইনডিকেটর তখনি ocerbought এর টেরিটরি ক্রস করছে সেই মুহূর্তে sell করা উচিৎ হবেনা যেহেতু প্রাইস বাড়তে থাকার সম্ভাবনা থাকে।
Stochastics এর সাথে ট্রেড এ প্রবেশ
যখন ট্রেড করার জন্য momentum indicators ব্যবহৃত হয় ট্রেড করার সঠিক সময়, তখন ট্রেডারস দের উচিৎ ট্রেড এ প্রবেশ করা যেই সময়টাতে কিনা লাইন তার আগের পূর্ববর্তী অবস্থাকে ছারিয়ে উপরে উঠতে থাকে।
এখানে একটি উদাহরন থেকে দেখা যায় যে, বিয়ারিশ ট্রেড এর জন্য, ততক্ষন অপেক্ষা করতে হবে যতক্ষণ না প্রাইস overbought কে ক্রস করে ট্রেডারকে ট্রেড করার এলারট দেয়।
একইভাবে বুলিশ ট্রেড এর জন্য, ট্রেডারসদের উচিৎ ট্রেড এ প্রবেশ করা যেই সময়টাতে কিনা লাইন তার আগের পূর্ববর্তী অবস্থাকে ছারিয়ে উপরে উঠতে থাকে। বুলিশ ট্রেড এর জন্য ততক্ষন অপেক্ষা করতে হবে যতক্ষণ না ইনডিকেটর oversold এর নিচে ক্রস করে ট্রেডারকে ট্রেড করার এলারট দেয়।
Momentum ব্যবহৃত হয়ে রিভার্স হতে পারে…
Momentum indicator খুবই ভালো একটি টুল যেটা ট্রেড এর অবস্থা এবং রিভারসাল এলারট নির্ণয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
এই প্রাইস সিরিজ এর প্রাথমিক স্টেজ এ দেখা যায় যে প্রত্যেক টা নতুন লও প্রাইস নতুন momentum low রেজিস্টার করে যেটা কিনা ট্রেডারকে ইন্ডিকেট করে যে ট্রেন্ড টা খুবই শক্তিশালি ছিল।
যদিও উপরের চিত্রে কালারফুল যায়গাগুলো তে বোঝা যায় যে momentum টা দুর্বল হয় এবং প্রাইস টা নিচের দিকে যেতে থাকে যার ফলে momentum নতুন লওস তৈরি করতে ব্যর্থ হয়ে হাইয়ার লও তে চলে যাচ্ছে।
এই অবস্থায়, বুলিশ অভিন্ন এবং বিয়ারিশ momentum কে দুর্বল করে বুলিশ momentum কে শক্তিশালী করে এবং একই সাথে রিভারসাল হাইয়ার এলারট করে।
এই কথাগুলোর অর্থ হচ্ছে, যদি ট্রেডার বিয়ারিশ ট্রেড এ অবস্থান করে এবং রিভারসাল শঙ্কেত পায় তাহলে এটাই তার উপযুক্ত সময় তার পজিশন কাভার করা।
আশা করি এখন আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে, momentum indicator দারা আপনার ট্রেড ট্রেন্ড কিভাবে উন্নতি করা যায় এবং কখন ট্রেড এ ঢোকা উচিৎ এবং এর সাথে ট্রেন্ড রিভারসাল এর এলারট টাও বুঝতে পাড়বেন।