Forex Trading Library

ফরেক্স ট্রেডারের জন্য মানি ম্যানেজমেন্ট (শেষ অংশ)

0 312

প্রত্যেক ট্রেডে টেক প্রফিট সেট করা

প্রফিট রে চলমান রাখুন এই মতবাদের সাথে এই স্ট্রাটেজি এর মতবিরোধ থাকতে পারে। কখন কোন ট্রেড থেকে বের হতে হবে এবং কখন কোন ট্রেডে এন্ট্রি নিতে হবে সেটা জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক টা যায়গায় ট্রেডের এন্ট্রি নেবার পরে কোন ভালো লেভেল দেখে ট্রেড থেকে বের হয়ে যাওয়া প্রফিটের ট্রেড লসে চলে যাওয়া থেকে উত্তম।

এই স্ট্রাটেজি অনেক ট্রেডারের জন্য ভালো নাও হতে পারে বিশেষ করে মার্কেট যখন ট্রেন্ড এ থাকবে। মার্কেট সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স লেভেল এ যাবার আগে কিছু লেভেল এ ফেরত আসবে এবং সেখান থেকে আবার আমাদের কাঙ্ক্ষিত লেভেলে যাবে, অনেকটা রাবার ব্যান্ড এর মত।

একজন ট্রেডার যদি টেক প্রফিট লেভেল সেট করে তাহলে সে তার কাঙ্ক্ষিত লেভেলে মার্কেট যাবার পরে ট্রেড থেকে বের হয়ে যেতে পারে, এবং মার্কেট এর কারেকশন হবার পরে সে আবার ট্রেডের সম্ভাবনা খুজতে পারে। এই কোর্সের সুবিধা হল মার্কেট যদি কোন রকম পুলব্যাক না করে সরাসরি চলতে থাকে তাহলে পুলব্যাকে নতুন ট্রেড না নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।

মানি ম্যানেজমেন্ট এর উপরোক্ত মতবাদ থেকে জানতে পারি যে কোন ট্রেডার তার মানি ম্যানেজমেন্ট কে তার ইচ্ছা মত পরিবর্তন করতে পারে। কিভাবে একজন তার ট্রেডের প্ল্যান এর সাথে মানি ম্যানেজমেন্ট কে যুক্ত করতে পারে সেটার উদাহরন নিচে দেয়া হলঃ

ট্রেডিং প্ল্যান এর মানি ম্যানেজমেন্ট কে যুক্ত করা

মানি ম্যানেজমেন্টকে ট্রেডে যুক্ত করার আগে কোন ট্রেডার কে একটি ফরেক্স ট্রেডিং এর সিস্টেম ভালভাবে শিখতে হবে এবং সেটা অনুযায়ী মার্কেট কে ভালোভাবে বুঝে ট্রেড করতে হবে। প্রথমত ট্রেডার কে ট্রেন্ডিং মার্কেট এবং রেঞ্জিং মার্কেট সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে।

মার্কেট এর ট্রেন্ড সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকা বা মার্কেট কোন লেভেল থেকে কোন লেভেলে আসবে সেটা বের করতে পারা কোন ভাল সম্ভাবনা কে খুজতে অনেক সাহায্য করে। কোন মার্কেটের এন্ট্রি এবং এক্সিট লেভেল কে বের করে টেকনিকাল এনালাইসিস অনুযায়ী কোন পেয়ারে ট্রেড করতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ, মার্কেট যদি ট্রেন্ডে থাকে তাহলে ট্রেডার সেই ট্রেন্ডের দিকে তার অধিকাংশ ট্রেড নিবে, সাধারনত ৮০ শতাংশ। এই অবস্থায় ঝুকি মুনাফা ১:২ গ্রহণযোগ্য হবে, সেই সাথে স্টপ লস হবে একটি গ্রহনযোগ্য দুরত্তে সেটা ১৫০ পিপ্স বা তার বেশি হতে পারে। এবং টেক প্রফিট লেভেল হবে স্টপ লসের ২ গুন অর্থাৎ ৩০০ পিপ্স বা তার বেশি।

ট্রেডার যখন মার্কেট এর কারেকশনের সময় ট্রেড করবে তখন তার ঝুকি মুনাফা এর হার ১:১ ব্যাবহার করতে হবে, এছাড়া আরও ছোট স্টপ লস এবং ছোট টেক প্রফিট ছোট সেটা ৫০ পিপ্স বা তার আসেপাশে হতে হবে।

অন্যদিকে মার্কেট যখন কোন রেঞ্জে থাকবে তাহলে যে কোন ট্রেড সেই রেঞ্জ এর একদম উপর অথবা নিচ থেকে নিতে হবে। বাই এর ক্ষেত্রে রেঞ্জ এর একদম নিচ থেকে ট্রেড নিতে হবে এবং সেল এর জন্য একদম উপর থেকে ট্রেড নিতে হবে।  এই রকম মার্কেটে ঝুকি মুনাফা এর হার ১:১.৫ হবে, অর্থাৎ স্টপ লস যদি হয় ১০০ পিপ্স তাহলে টেক প্রফিট হবে ১৫০ পিপ্স বা তার বেশি।

ট্রেন্ডিং এবং রেঞ্জিং দুই মার্কেট এর ক্ষেত্রেই ঝুকি মুনাফা এর হার ১:১.৫ অথবা ১:২ ধরা হয়েছে। কোন ট্রেডার যদি ট্রেড চলমান থাকার একদম মাঝে ট্রেড বন্ধ করে দেয় তাহলে ভিন্ন কথা। যদি এরকম ট্রেড চলতে থাকে এবং অর্ধেক বা তার বেশি ট্রেড টেক প্রফিট হিট করে তাহলে কোন ট্রেডার প্রফিটে থাকবে। এই মানি ম্যানেজমেন্ট কোন ট্রেডারের ইমোশন কে ঠিক রাখতে অনেক সাহায্য করবে।

উপসংহার

মানি ম্যানেজমেন্ট কে ভালোভাবে বুঝতে পারলে এবং রিস্ক কে কন্ট্রোল করে সেটা কে একাউন্ট এ ব্যাবহার করলে সর্বদা প্রফিটে থাকা ট্রেডার এবং লুজার ট্রেডার এর মধ্যে  পার্থক্য বুঝা যায়।

মুলত যারা নিয়মিত মানি ম্যানেজমেন্ট কে ব্যবহার করে এবং নিজের ইমশন কে কন্ট্রোল করতে পারে তাদের জন্য ফরেক্স একটি দীর্ঘ সময়ের ব্যাবসা হতে পারে। মানি ম্যানেজমেন্ট কে ব্যবহার করে প্রফিট এবং লস কে ভালোভাবে ধরে রাখতে পারলে একজন সফল ফরেক্স ট্রেডার হওয়া যায়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.