BoE গ্রীষ্মে হার বৃদ্ধি করতে পারে
ইংল্যান্ড ব্যাংকের গভর্নর Mark Carney বৃস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে UK যদি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ান থেকে বের হয়ে আসে তাহলে পরবর্তীতে মার্কেট আরো নিচের দিকে নামতে পারে।BoE গভর্নর বলেন যে UK এই পরিবর্তন কে আদ্য হ্যান্ডেল করতে পারবেন,কেননা এটি বিশ্বের সবচেয়ে নমনীয় অর্থনীতি ও এটি মানবসম্পদ উপর বেশ প্রভাব পড়ছে বলে মনে হয়।এখন আমাদের সবার প্রশ্ন UK কি করবে,আর করলে খুব দ্রুত কিভাবে সম্পন্ন করবে এবং এটি কত টুকু ভালো হবে।
তবে তিনি সতর্ক করেন যে,UK এর প্রবৃদ্ধি আগামী মাসে মধ্যে নিচে নামতে পারে এবং এর ফলে পরবর্তীতে সুদের হার বৃদ্ধি পেতে পারে এবং অন্যান্য খাতে হার বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়তে পারে।কিন্তু এছাড়াও Carney আরো বলেন যে ঝুঁকির সাথে সুদের হার শুন্য শতাংশে দেখা যেতে পারে এবং তিনি বলেন যে এই সব কারনে যুক্তরাজ্যের ক্রেডিট নমনীয় থাকতে পারে।
ইংল্যান্ড ব্যাংক তার সামঞ্জস্যপূর্ণ দৃশ্য বজায় রাখতে পারে।এদিকে ২৩শে জুন গণভোটের পূর্বে ইংল্যান্ড ব্যাংকের গ্রাহক ও ব্যবসা খাতে খরচ প্রবৃদ্ধিতে ছিল এবং ধারনা করা হচ্ছিল যে পরবর্তীতে আরো উপরের দিকে দেখা যেতে পারে।
BoE গভর্নর বলেন যে সেন্ট্রাল ব্যাংক সম্ভাবত গ্রীষ্মে তার সুদের হার বৃদ্ধি করতে পারে।তিনি বলেন যে,অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকার কারনে BoE এর জুলাই শুরুর দিকে মিটিং অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং পূর্বাভাস অনুযায়ী নতুন ভাবে আবার বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে এবং আগস্ট মাসের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ভালো পর্যায় দেখা যেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
Carney বলেন যে সেন্ট্রাল ব্যাংক অর্থনীতিকে পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসার জন্যে বড় ধরনের একটা সাপোর্ট হতে পারে এবং BoE তার Asset purchase প্রোগ্রামে বলেন যে, সেন্ট্রাল ব্যাংক তার ব্যাংকিং সিস্টেম কিছুটা হলেও পরিবর্তন করতে পারে।Carney বলেন যে আগামী মঙ্গলবার বার ব্যাংকিং রুলস পরিবর্তনের একটা মিটিং অনুষ্ঠিত হতে পারে।
Carney বলেন যে ডলার এর বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ড ১.৩৮০% এর নিচে রয়েছে এবং FTSE100 এক দিনে ২.২৭% বন্ধ রয়েছে।এদিকে Brexit ভোটের পরে UK gilts ০.৮৮২% এর নিচে রয়েছে।
UK ১০বছরের বন্ড চার্ট
UK ছেড়ে যাওয়ার পরে BoE মার্কেটে হার বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছে।Brexit এর উপর আমাদের পূর্বের মন্তব্য ছিল যে,BoE সম্ভাবত জুলাই মাসে হার বৃদ্ধি করতে পারে এবং Carney বলেন যে আজকে এর কিছুটা পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।তবে আগস্ট মাসে হার বৃদ্ধি কেমন হবে সেটায় এখন প্রশ্ন,ডাটা অনুযায়ী জুলাই মাসে বড় ধরনের হার বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে।এদিকে Brexit এর প্রভাব সম্পূর্ণ না যাওয়া পর্যন্ত BoE সম্ভাবত সেপ্টেম্বার ও অক্টোবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।ততোদিনে যুক্তরাজ্যের নতুন নেতা নির্বাচিত হতে পারে এবং EU এর সঙ্গে আলোচনায় বসার একটা সম্ভাবনাও রয়েছে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে UK এর S&Pগ্লোবাল রেটিং AAA ক্ষতির মুখোমুখি থাকতে পারে,UK এর fitch rating অলরেডি AA+ থেকে AA এর নিচে রয়েছে।স্টার্লিং যা পূর্বে বহু বছর ধরে উপরের দিকে অবস্থান করছিলো এই সপ্তাহের পরপর দুই দিন মঙ্গলবার ও বুধবার একেবারে নিচের দিকে নামতে পারে।কিছু বিশ্লেষক ও Rabobank Jane Foley বলেন যে বিনিয়োগকারীরা এখন ঝুঁকির মুখোমুখি রয়েছে এবং UK এর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত নৈরাজ্য পূর্ণ অবস্থা বিরাজ করতে পারে।তিনি বলেন যে ডলার এর বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ড আরো দুর্বল হতে পারে এবং GBPUSD $1.24 এর নিচে নামতে পারে।
Scotiabank এর বিশ্লেষক বলেন যে,আমার মনে হয় পাউন্ড আরো নিচে নামতে পারে এবং রাজনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকার কারনে ও গণভোটের প্রভাব সম্পুর্ন ভাবে না যাওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান বিরাজ করতে পারে।
এদিকে Carney বলেন যে যথাযথ সময়ে সরকারের এগিয়ে আসা উচিৎ এটি দায়িত্বহীনতার পরিচয় হতে পারে না,এবং Brexit সমালোচকদের জন্যে সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ বলে আমার মনে হয় না।