Forex Trading Library

নিখুঁতভাবে ফরেক্সে প্রফিট করা ( দ্বিতীয় অংশ)

0 490

পজিশন সাইজ ঠিক করা-

ফরেক্স ট্রেডের একটা ভালো স্ট্রাটেজি তৈরি করার পরে পজিশন এর সাইজ ঠিক করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সর্বসম্মত একটি নিয়ম আছে যে একজন ট্রেডার তার একাউন্ট এর ১-৩% এর বেশি কোন ট্রেডে রিস্ক নিতে পারবে না।

যখন কোন ট্রেডার প্রত্যেক ট্রেডে অল্প রিস্ক নিবে তখন তার লসের ট্রেডের পরিমাণ আসতে আসতে কমতে থাকবে। অল্প রিস্ক নিলে সে তার একাউন্ট এর ব্যালান্স শেষ করে ফেলবে না।

কেও কেও ব্যালান্স এর নির্দিষ্ট কিছু পারসেন্টেজ তার একাউন্ট এ রিস্ক নেয় আবার অনেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রত্যেক ট্রেডে রিস্ক নেয়। ব্যালান্স এর নির্দিষ্ট কিছু পারসেন্টেজ এর পরিবর্তে হয়ত সে নির্দিষ্ট অর্থ ১০০$ প্রত্যেক ট্রেডে রিস্ক নিবে।

প্রফিট কে বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট পারসেন্টেজ সেটা হতে পারে ৩% প্রত্যেক ট্রেডে ব্যাবহার করা সব চেয়ে ভালো। সেই ক্ষেত্রে যদি কোন ভালো সম্ভাবনার ট্রেড থেকে থাকে সেই ক্ষেত্রে ট্রেডার পারসেন্টেজ এর পরিমাণ বাড়াতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, যদি কোন ট্রেডার ভালো কোন ট্রেডের সুযোগ পায় ফরেক্স মার্কেট এনালাইসিস করে তাহলে সে সেই ট্রেডে তার পূর্বপরিকল্পিত ৩% হারে ট্রেড করবে। এছাড়া যদি সে এর চেয়ে কম সম্ভাবনার ট্রেড পায় সে ক্ষেত্রে সে ১% বা ২% ব্যাবহার করবে।

ট্রেইলিং স্টপ লস-

লসকে কমানো এবং প্রফিট কে বাড়ানোই হল একজন ট্রেডারের মূলধন বাড়ানোর মূলমন্ত্র। স্টপ অর্ডার এই লসকে কমানো এবং প্রফিট বাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকরী। স্টপ অর্ডার হল যখন ট্রেডার দেখবে যে সে কোন ভুল করেছে তখনি সে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাবে। এছাড়া ট্রেইলিং স্টপ প্রফিট সহ মার্কেট থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে।

ট্রেইলিং স্টপ তখনি ব্যাবহার করা হয় যখন ট্রেডারের একাউন্ট এ কোন ট্রেড প্রফিটে চলবে। তখন স্টপ অর্ডার অল্প কিছু প্রফিট নিয়ে মার্কেট থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে, কোন প্রকার লসের শিকার না হয়েই। ট্রেইলিং স্টপ যে কোন লেভেলে সেট করা যায় মার্কেটের বর্তমান প্রাইস এর একটু কমে। যদি মার্কেট কোন কারনে উলটা যেতে থাকে তাহলে সেই ট্রেলিং স্টপ লেভেল এ মার্কেট হিট করবে।

যদি কোন কারনে ট্রেলিং স্টপ লেভেল হিট হয় তাহলে নতুন করে এন্ট্রি নেবার জন্য অপেক্ষা করতে হবে কোন ভালো লেভেল থেকে। ট্রেলিং স্টপ ব্যাবহার করলে যে কোন ট্রেডারের প্রফিটের ট্রেড লসে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।

সময় স্টপ-

কর্পোরেট ট্রিজারী ম্যানেজার রা তাদের কোম্পানির ব্যালেন্স কে হেজ করার আগে তাদের কত ব্যালান্স আছে সেটা আগে ভালো করে হিসাব করে নেয়।

কর্পোরেট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এর অনেক গুলো নিয়ম সারা বিশ্বে ব্যাবহার হচ্ছে তার মদ্ধে সব চেয়ে বেশি ব্যাবহার করা হয় স্প্রেডশীট প্রোগ্রাম যেমন মাইক্রোসফট এক্সেল।

প্রথম ধাপ হল কোন কারেন্সি বাই নেয়া হবে আর কোন কারেন্সি সেল নেয়া হবে সেটা একটা কলামে সাজানো, সেই সাথে কোন কারেন্সি তে এখন চোখ রাখতে হবে, ভালো হয় যদি বিস্তারিত তারিখ সহ লেখা যায়।

এরপরে যদি কোন বাই এবং সেল এন্ট্রি অফসেট হয়ে যায় তাহলে সেটা কে ইন্টারনালি হেজ করা যায়।

এরপরে যদি কোন পেয়ার এর মধ্যে যদি কোন অফসেট না থাকে তাহলে সেগুলো কে কোন খরচ ছাড়া ফরেক্সের কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী হেজ করা যায়। এভাবে অন্য দেশের কারেন্সির সাথে নিজের দেশের কারেন্সির হেজ করা যায়।

এভাবে কারেন্সি এর হেজ এর সম্ভাবনার সাপেক্ষে কোন কারেন্সি তে হেজ করা হবে সেটা বের করতে হবে এবং কত পরিমাণ অর্থ হেজ করা হবে সেটাও হিসাব করে নেয়া হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.