Forex Trading Library

অনিশ্চিত অবস্থাকে ভবিষৎবাণী করাঃ ব্রেক্সিট ধ্বস, ডিউসে ব্যাংক… আমেরিকার নির্বাচন…

0 420

এ বছরের শুরু থেকে পলিটিকাল এবং ইকোনোমিক ইভেন্টে অনেক আশ্চর্য এবং অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনা ঘটে গিয়েছে এবং আরও ঘটার বাকি আছে যেহেতু বছরের কয়েকটা সপ্তাহ বাকি রয়েছে আর এর মধ্যে আমেরিকার নির্বাচনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা কিনা পুরো বিশ্বের কাছে একটি উত্তেজনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর যা কিনা কয়েকটি ঘন্টা পরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

কেঊ কি ব্রেক্সিটের কথা চিন্তা করেছিলো?

যখন ব্রিটিশদের বড় একটি গোষ্ঠী ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে অব্যাহিত নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেউ কি কখনো এই আশ্চর্য ইভেন্টের কথা চিন্তা করেছিলো। যা কিনা অনেকের কাছে খুবই আশ্চর্যজনক মনে হয়েছিলো। যদিও এর কিছু কারন ছিলো আর ১ম কারনটা হচ্ছে কে একতার বিরুদ্ধে ভোট দেবে? আপনি হয়তো মনে করছেন কে এই কাজটা করবে? কিন্তু ব্রিটিশদের বড় একটি গোষ্ঠী এই একতার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। ২য় কারনটা হচ্ছে, আপনি হয়তো

ভাববেন যে কে ইকোনোমিক রিসেশন এর পক্ষে ভোট দেবে? কিন্তু ব্রিটিশদের বড় একটি গোষ্ঠী এর পক্ষে ভোট দেয়। এটা ব্রেক্সিটের সঠিক রেজাল্ট নয়। কিন্তু তা হওয়াটা আবার অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এখন অনেকের প্রশ্ন যে এই ইকোনোমিক ধীরগতি কি এড়িয়ে চলা যাবেনা? অবশ্যই যাবে, কিন্তু কিভাবে? ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এই ব্যাপারে মধ্যস্থতা করছে যা কিনা পরবর্তীতে আরও ভালো কিছু আশা করা হচ্ছে এই সকল রিসেশন এবং স্লোডাউন এড়ানোর জন্য, যদিও স্লোডাউন ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে তবুও তারা আশাবাদী।

GBP ফ্ল্যাশ ধ্বস

এ বছরের শুরুটা ব্রিটিশ পাউন্ড ১.৪৯ দিয়ে শুরু করে কিন্তু যা এখন ১.২৩ দিয়ে ট্রেডিং হচ্ছে। এই আশ্চর্যজনক ধ্বসটা ব্রেক্সিট এর ঘোষণা হওয়ার পরই দেখা যায়। এটা আমরা নিশ্চিন্তে বলতে পারি যে ব্রেক্সিটের কারনেই পাউন্ডের এই ধ্বস হয় যা কিনা খুব কম মানুষ এ ব্যাপারে পূর্বাভাস পেয়েছিলো। এই পাউন্ডের আরেকটি ফ্ল্যাশ ধ্বস হয় ৭ই অক্টবর, সবমিলিয়ে এই গত ১০ মাসে পাউন্ড তার ২০% এর থেকে বেশি লস ফেস করে। যেখানে ব্রেক্সিটের ঘোষনাটা আরও ধ্বসের দিকে নিয়ে যায়।

ফেড

ফেডারেল রিজার্ভ কথা দিয়ে আসছে যে তা খুবই তাড়াতাড়ি ইন্টারেস্ট রেট বারাবে। যা কিনা গত বছরের পর আর বারানো হয়নি। যদিও ফেড বিশ্ববাসীকে জানিয়েছে যে এই বছরে তারা ৪ বার রেট বাড়াবে।

এটা নভেম্বর মাস, ৪ বার তো দুরের কথা তারা এ বছরে ১বারও রেট বাড়ায়নি। এখনও আমরা আশায় আছি। এখন ফেডের কথার অগ্রগতি একমাত্র আমেরিকার নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে যা কিনা কিছুক্ষনের ভেতরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

ডিউসে ব্যাংক

গ্লোবাল ফাইন্যানস ধবসের ১ যুগ পর হঠাৎ করে US ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস ১৪ বিলিয়ন ডলার এর জরিমানা ডিমান্ড করছে মর্টগেজ mis-selling এর জন্য। এই threat ডিউসে ব্যাংক এর শেয়ার এর জন্য খুবই অমঙ্গলজনক। আর সব থেকে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে জার্মানের সরকার এই ব্যাংককে ছাড়িয়ে আনার কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এ রকম সিদ্ধান্ত গ্লোবাল সিস্টেমকে হুমকির মুখে গেলতে পারে।

আমেরিকার নির্বাচন

আর কিছুক্ষনের মধ্যে সব প্রতিক্ষা শেষ হয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সব থেকে বড় ইকোনোমিক ইভেন্ট আমেরিকার নির্বাচন। এই নির্বাচনে একটি নতুন ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে। যদি হিলারি ক্লিন্টন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয় তাহলে তিনিই হবেন আমেরিকার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট যা কিনা ইতিহাস হয়ে থাকবে। আর যদি ট্রাম্প জয়ী হয় তাহলে তিনি হবেন আমেরিকার ইতিহাসের প্রথম স্বাজাতিবাদী (racist) প্রেসিডেন্ট। যেহেতু এই বছরটা খুবই অনিশ্চিত একটা বছর ছিল তাই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাটা হিলারি ক্লিনটনেরই বেশি। আর হ্যা অবশ্যই, যদি ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয় তাহলে আমি এতটা আশ্চর্যও হবোনা।
https://www.orbex.com/blog/2016/11/predict-the-unpredictable/

Leave A Reply

Your email address will not be published.